অনলাইন সংরক্ষণ ॥ বরিশালে সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে প্রতারণাপূর্বক কলেজ ছাত্রী অপহরণ করে ফেঁসে গেছে প্রতারক মনির হোসেন। মুক্তিপণ আদায়ের পরিবর্তে ওই প্রতারক এখন জেল হাজতে। গত ১৪ এপ্রিল কোতয়ালী মডেল থানাধীন চরের বাড়ি থেকে এয়ারপোর্ট থানার চৌকস কর্মকর্তা এসআই ফিরোজ আলম তাকে গ্রেফতার করেন। সাধারণ ডায়েরী সূত্রে জানা যায়, বাকেরগঞ্জ থানার সন্তোষদি গ্রামের মৃত হাসেম খানের ছেলে মোঃ মনির হোসেন খান একমাস পূর্বে নিজের পরিচয় গোপন রেখে চাঁদপাশা ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের ওসমান খান’র বাড়িতে যায়। সেখানে নিজেকে সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দেয় এবং ওসমান খান’র কলেজ পড়ুয়া মেয়ে (১৭)কে বিয়ের কথা বলে। এছাড়া মাঝে মধ্যেই মেয়ে ও তার মায়ের সাথে ফোনে কথা বলতো।
গত ৯ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তানজিলাকে ঢাকা বরিশাল মহাসড়কের ক্যাডেট কলেজ এলাকা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর নানান কৌশলে দুটি মোবাইল নম্বর (০১৭৩০—-২০৭ ও ১৭৯১—–৮৯২) থেকে মেয়েকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। দাবীকৃত টাকা না দিলে তার মেয়েকে খুন করার হুমকি প্রদান করে মনির। এ ঘটনায় ওসমান বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় ১০ এপ্রিল একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেন। যার নম্বর ৪০৩/১৮।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট থানার চৌকস কর্মকর্তা এসআই ফিরোজ আলম কৌশলে প্রতারক মনিরকে তার নিজ গ্রাম সন্তোষদি থেকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারের পর প্রতারক মনির তানজিলাকে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা এবং ভূয়া সেনাবাহিনী সদস্য বলে স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসআই ফিরোজ আলম জানান, মোবাইল ট্রাকিং এর মাধ্যমে আসামীর অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে বাকেরগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে প্রতারক মনিরকে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
‘৫০ হাজার টাকা পেল রাজীবের দুই ভাই’
: অনলাইন সংরক্ষণ ।।। দুই বাসের রেষারেষিতে হাত কাটা পড়ে নিহত......বিস্তারিত