
দিনাজপুরের এম আবদুল রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে গতকাল সোমবার সকালে ভর্তি হন এক যুবক। করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় ভর্তির পর তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। কিন্তু এতে ভয় পেয়ে যান ওই যুবক এবং কাউকে কিছু না জানিয়েই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। কিন্তু আজ মঙ্গলবার ভোররাতে নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি।
দিনাজপুরের এম আবদুল রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল- ফাইল ছবি
ওই যুবকের বয়স ৩৫ বছর। বাড়ি জেলার বিরাপুর উপজেলায়। তিনি স্থানীয় বাজারে সাইকেল মেরামতের কাজ করতেন।
তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, আগে থেকেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল তার। এর সঙ্গে গত কয়েক দিন ধরে দেখা দিয়েছিল জ্বর, সর্দি ও কাশি। সুস্থ হওয়ার জন্য প্রথমে কদিন স্থানীয়ভাবে ওষুধ খান। কিন্তু তাতে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গতকাল সোমবার সকালে এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে ভর্তির পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে আইসোলেশনে ওয়ার্ডে রাখার সিদ্ধান্ত নিলে ভয়ে তিনি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে আসেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাসপাতালটির পরিচালক নির্মল চন্দ্র দাস বলেন, ওই যুবকের জ্বর ও যক্ষা ছিল।
এ বিষয়ে দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন আবদুল কুদ্দুস বলেন, ওই যুবকের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর মেডিকেল টিমের সদস্যরা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পরীক্ষার প্রতিবেদন আসলে জানা যাবে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কি না। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।