আইনজীবীকে বাসায় ডেকে নিয়ে প্রতারণা : নারীসহ চার প্রতারক আটক
Deprecated: get_the_author_ID is deprecated since version 2.8.0! Use get_the_author_meta('ID') instead. in /home/ajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 4861
আজকের বার্তা আজকের বার্তা
নিউজ ডেস্ক

স্টাফ রিপোর্টার :: আইনী সহায়তা পেতে এক আইনজীবীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে প্রতারণা এবং পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে নারীসহ চার প্রতারককে আটক করেছে র্যাব-৮। ৩ আগস্ট সোমবার দিবাগত রাতে ফরিদপুরের সালথা থানাধীন ফোকরা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন একই থানাধীন সালথা গ্রামের মো. করিম উদ্দিনের ছেলে মো. ফিরোজ মল্লিক (২১), ময়েনদিয়া গ্রামের বাচ্চু মোল্লার মেয়ে পারভীন আক্তার সাথী (২৭), তুগোলদিয়া গ্রমের মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে চরকমলাপুরের ফয়সালের বাসার ভাড়াটিয়া মো. রবি হাসান রানা (১৯) ও ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন পলাশবাড়ি এলাকার ইউনুচ মোল্লার মেয়ে লাবিবা আক্তার (২১)।
মঙ্গলবার র্যাব-৮ সদর দপ্তর থেকে প্রেরিত ই-মেইল বার্তায় জানানো হয়েছে, ‘প্রতারক চক্রের একজন স্থানীয় এক আইনজীবীকে মামলা পরিচালনার জন্য বাসায় ডাকেন। আইনজীবী তাকে চেম্বারে আসতে বলেন। কিন্তু বিষয়টি গোপনীয় এবং পারিবারিক বিধায় চেম্বারে আলোচনা করা সম্ভব নয় বলে আইনজীবীকে বাসায় যেতে অনুরোধ করেন।
আইনজীবীর কাছ থেকে পাওয়া লিখিত অভিযোগের বরাত দিয়ে র্যাব আরও জানায়, ‘ওই আইনজীবী সরল বিশ্বাসে তার বাসায় যান। তখন বাসায় ভুক্তভোগী ছাড়াও আরও এক নারীর উপস্থিতি দেখতে পান। এরপর হঠাৎ করেই চারজন যুবক লোহার রড ও চাপাতিসহ ওই বাড়িতে প্রবেশ এবং জোরপূর্বক এক মহিলার সাথে ওই আইনজীবীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে।
পরে ওই ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-৮ এর ফরিদপুর ক্যাম্পের টিম ছায়া তদন্ত শুরু এবং ঘটনার সত্যতা পেয়ে গ্রেফতার তৎপরতা শুরু করেন।
এর ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি চৌকস টিম অভিযান চালিয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানাধীন চরকমলাপুর এবং সালথা থানাধীন ফোকরা গ্রাম থেকে নারীসহ ওই চার প্রতারককে আটক করে। এদের বিরুদ্ধে ফরিদপুরের কোতয়ালী থানায় চাঁদাবাজি ও পর্ণোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, ‘আটককৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছেন যে, মূলত তারা একটি প্রতারক চক্র। কখনো প্রেমের অভিনয়, আবার কখনো কাজের কথা বলে তারা বিভিন্ন সময় পুরুষদের বাসায় ডাকেন এবং অন্যান্য সহযোগীরা ভয়ভীতি দেখিয়ে আপত্তিকর ছবি তুলে রাখেন। পরে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করেন। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে র্যাব জানিয়েছে।