স্টাফ রিপোর্টার ॥ আসছে বাংলা নববর্ষ। চৈত্রের মাঝামাঝিই বরিশালের ইলিশ মোকামে এর প্রভাব পড়ছে। প্রতি বছর বাংলা নববর্ষকে সামনে রেখে মোকামগুলোতে ইলিশের আমদানি কমতে থাকে, সংকটের অজুহাতে বাড়তে থাকে দাম। এবারও ইলিশ নিয়ে মোকামগুলোতে উত্তাপ ছড়াতে পারে। ইতোমধ্যে বরিশালের ইলিশের একটি বড় অংশ রাজধানীতে চলে যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহ আগে থেকেই বৈশাখের হাওয়ায় মোকামে ইলিশের দাম কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। যদিও ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, গতবছর থেকে নববর্ষ উৎসবে ইলিশের চাহিদা কমতে শুরু করেছে। ঢাকায় ইলিশ সরবরাহের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে এ বছর ইলিশের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। ইলিশ ব্যবসায়ী ও মৎস্য বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। ইলিশ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে ইলিশের মৌসুম নয়। তাছাড়া নিষেধাজ্ঞাও চলছে ৩ মাসের। যদিও পূর্বের বছরগুলোর তুলনায় এবার জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে। তবে পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে মোকামে যে পরিমাণ ইলিশ আমদানি হয়, বেশি মুনাফার জন্য তার বেশিরভাগ ঢাকার মোকামে পাঠানো হচ্ছে। বরিশাল মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অজিত দাস জানান, প্রতিবছর পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে ইলিশের মূল চাহিদা থাকে ঢাকায়। এবারও সেখানকার চাহিদার কারণে বরিশাল মোকামে সকল সাইজের ইলিশের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিমণে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বেড়েছে। নগরীর পোর্ট রোড মোকামে গতকাল বুধবার প্রায় ২শ মণ ইলিশ ওঠে। সেখানে এক কেজি সাইজের ইলিশের কেজি বিক্রি হয়েছে দেড় হাজার টাকা দরে। ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রাম সাইজের ইলিশের কেজি বিক্রি হয় ৮০০ টাকায়। বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতায় খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, নববর্ষের ২/১ দিন আগে ওই সাইজের ইলিশের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পাবে। এ দামে ইলিশ কেনার সক্ষম ক্রেতা ঢাকায় বেশি থাকায় বড় ইলিশ সবই হিমায়িত করে সেখানে পাঠানো হচ্ছে। এদিকে নগরীর খুচরো বাজারে ইলিশের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা দরে। অবশ্য বাসা বাড়িতে এরই মধ্যে ইলিশ কেনা শুরু হয়েছে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এর প্রচারণা চলছে। ঢাকায় বসবাসকারী বাবুগঞ্জের একজন রাজনৈতিক নেত্রী গতকাল বুধবার ফেসবুকে প্রায় ২০টি বড় সাইজের ইলিশের ছবি প্রকাশ করেন। তিনি সেখানে উল্লেখ করেন, ‘বরিশাল থেকে পহেলা বৈশাখের ইলিশ চলে আসছে। সবাইকে পান্তা ইলিশের দাওয়াত।’ অবশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন মন্তব্যে সমালোচনায়ও পড়তে হয়েছে ওই নেত্রীকে। এ ব্যাপারে বরিশাল মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় অসময়েও জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ায় সারা বছরই মানুষ ইলিশের স্বাদ পাচ্ছে। তাছাড়া পহেলা বৈশাখ উৎসবে ইলিশ বর্জনের বিষয়টি সাধারণ মানুষ ইতিবাচক হিসাবে নিয়েছে। ফলে নববর্ষ উৎসবে ইলিশ নিয়ে মাতামাতি অনেকটাই কমে গেছে। তারপরও এ উৎসবকে কেন্দ্র করে যাতে জাটকা নিধন করা না হয় সেজন্য নদ-নদীতে অভিযান বৃদ্ধি করা হয়েছে।
‘কবি আল মাহমুদকে শেষ শ্রদ্ধা’
: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিজ গ্রামে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল......বিস্তারিত