রূপগঞ্জ ওসির দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় : ‘আওয়ামী লীগ নিধনই যেন তার কাজ’ শিরোনামে রূপগঞ্জ থানার ওসি ইসমাইল হোসেনের অপরাধ-অপকর্ম ও দুর্নীতির ফিরিস্তি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিন ‘টক অব দ্য রূগগঞ্জে’ পরিণত হয়। সকাল ৯টার মধ্যেই রূপগঞ্জসহ আশপাশের সব এজেন্ট ও সংবাদপত্র বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে বাংলাদেশ প্রতিদিন শেষ হয়ে যায়। দুপুরের পর ঢাকা থেকে বিশেষভাবে সংগ্রহ করে বাংলাদেশ প্রতিদিনের কয়েকশ কপি রূপগঞ্জে এনে হকাররা ২০/২৫ টাকা দামে বিক্রি করেন। চাহিদা বুঝে মোগড়াপাড়া মোড় ও কাঁচপুর এলাকাতেও বাংলাদেশ প্রতিদিন দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে কেনাবেচা হতে দেখা গেছে। ওসি ইসমাইল হোসেনের সাবেক কর্মস্থল টঙ্গী থানা এবং তার জন্মস্থান নরসিংদীর সর্বত্রও বাংলাদেশ প্রতিদিন নিয়ে রীতিমতো কাড়াকাড়ি চলে। টঙ্গী এলাকার পাঠকরা অনেকেই বাংলাদেশ প্রতিদিন ও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
তারা টঙ্গী থানায় ওসি থাকাকালীন ইসমাইল হোসেন যতসব অপরাধ অপকর্ম করেছেন তার প্রমাণাদিসহ আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছেন। টঙ্গীর সাধারণ মানুষ জানিয়েছেন, সেখানে ইসমাইল হোসেনের তত্ত্বাবধানে তুরাগ নদ জবরদখল করে কীভাবে শিল্প প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে তার বিবরণ। সাতাইশ এলাকার কোনো ভূমিদস্যুকে সার্বক্ষণিক পুলিশ বেষ্টনী দিয়ে তার হাউজিং সোসাইটি ব্যবসা সফল করার বিনিময়ে প্রাডো গাড়ি হাতিয়ে নিয়েছেন, পাগাড়ে সালামের ইটভাটা দখল করে ওসি কীভাবে ইসমাইল স্পিনিং মিল গড়েছেন, মিলগেট বস্তি দখল করে হেলালের হাতে বুঝিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে যেভাবে ওসি প্রতি মাসে দুই লাখ টাকা চাঁদা পান এখনো সেসব কাহিনী পাঠক-ভুক্তভোগীরা ফোনের মাধ্যমে জানাচ্ছেন অবিরাম। রূপগঞ্জের ওসি ইসমাইল হোসেন যোগদানের পর গত ২ বছরে রূপগঞ্জের দেড় হাজার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর নামে দেড় শতাধিক মামলা রুজু করেছেন। ওসি ইসমাইলকে মোটা অঙ্কের টাকার জোগান দিতে না পারায় অনেক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী মিথ্যা মামলার স্বীকার হয়েছেন। ওসি ইসমাইলের দ্রুত অপসারণ দাবি করেছেন ভুক্তভোগী সর্বস্তরের জনগণ।
‘স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, স্বামীর দেওয়া আগুনে ঘর পুড়ে ছাই’
: বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলায় স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে মধ্যরাতে ঘরে আগুন......বিস্তারিত