পদ্মা সেতুর সুপরিকল্পিত ৬ লেনের এই অ্যাপ্রোচ সড়কটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের কাছে বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠেছে। শিবচরের পাঁচ্চর গোলচত্বর থেকে জাজিরার নাওডুবার পদ্মা সেতুর টোলঘর পর্যন্ত মহাসড়কে হরেক রকমের ফুলগাছে ফুল ফুটতে শুরু করেছে। এতে ওই মহাসড়কে মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত বছর কাওড়াকান্দি ঘাট কাঁঠালবাড়িতে স্থানান্তরের পর খুলে দেওয়া হয়েছে পদ্মা সেতুর ৬ লেন অ্যাপ্রোচ সড়ক। নির্মিত অ্যাপ্রোচ সড়কের আইল্যান্ড, ঢাল ও দুই পাশে লাগানো হয়েছে দেশি-বিদেশি বাহারি ফুলগাছ ছাড়াও নানা রকম ফল ও ওষুধি গাছ। মহাসড়কের মাঝ বরাবর আইল্যান্ড জুড়ে লাগানো হয়েছে মশুন্ডা, বোতল ব্রাশ, পাতাবাহার, সোনালু বন্দুন, এরিকা পাম্প, হুইপিং দেবদারুসহ হরেক রকমের ফুলগাছ। আর মহাসড়কের ঢাল ও সমতল ভূমিতে লাগানো হয়েছে আম, জাম, কাঁঠাল, বকুল, কাঞ্চন, সোনালু, মহুয়া, কৃষ্ণচূড়া, বহেরা, অর্জুন, শিমুলসহ বাহারি, ফলদ ও ওষুধি গাছ। ২০১৭ সালে পদ্মাসেতু কর্তৃপক্ষ বনবিভাগের মাধ্যমে সামাজিক এ বনায়ন করছে। ইতোমধ্যেই ছোট ছোট ফুল গাছেই ফুল ও বাহারি পাতার রঙে মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। গাছ রক্ষণাবেক্ষণে রাখা হয়েছে মালি। নেওয়া হচ্ছে নজরদারি।
এ রুটের বাসচালক কবির বলেন, ‘এই মহাসড়কটির চারপাশে বিভিন্ন গাছ লাগিয়ে যে মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে. তা সত্যিই সুন্দর।’
মালী রহমান হোসেন বলেন, ‘এখানে ফুল, ফল, কাঠসহ বিভিন্ন ওষুধি গাছ লাগানো হয়েছে। আমরা নিয়মিত পানি দিই। আগাছা পরিষ্কার করে গাছের পরিচর্যা করি।’
শিবচর উপজেলা বন কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই মহাসড়কের শিবচরের পাঁচ্চর গোলচত্বর থেকে শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডুবার পদ্মা সেতুর টোলঘর পর্যন্ত দুই ভাগে বনায়ন করা হয়েছে। একটি সমতল ও আরেকটি হচ্ছে শোভাবর্ধনকারী আইল্যান্ড বনায়ন। এ পথে যারা চলাচল করে, তারা এই শোভাবর্ধন দেখে অভিভূত হয়।’
‘আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক’
: সংযুক্ত আরব আমিরাতের সশস্ত্র বাহিনীর উপ সর্বাধিনায়ক ক্রাউন প্রিন্স শেখ......বিস্তারিত