পুলিশ জানিয়েছে, আটক যুবকের নাম রামচন্দ্র দাস (৩৫)। গ্রামেরই এক কিশোরীর বাবা মারা যাওয়ার পর মা-ও তাকে ছেড়ে চলে যায়। সেই কিশোরীকে সে বোন পাতিয়ে নিজের কাছে আশ্রয় দিয়েছিল। রামচন্দ্র কীর্তন গেয়ে দিনযাপন করে। ওই কিশোরীকেও সে কীর্তনের আসরে নিয়ে যেত এবং গান গাওয়াতো।
কিশোরীর অভিযোগ, প্রথমে ভালো ব্যবহার করলেও শেষ দেড় বছর ধরে নিয়মিত তাকে ধর্ষণ করত রামচন্দ্র। কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এমনকী কীর্তনের আসর ছাড়া অন্য সময় তাকে বাড়ির বাইরেও বেড়াতে যেতে দেওয়া হত না।
এদিকে দিনের পর দিন অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকায় কিশোরীটি অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। ভয় কাটিয়ে সোমবার গ্রামবাসীদের সে পুরো ঘটনা জানায়। এরপরই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে। দেড় বছর ধরে টানা ধর্ষণের শিকার হয়েও কিশোরীটি কেন এতদিন তা সামনে আনেনি, এই বিষয়টিও অবশ্য খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘টানা দেড় বছর তো কারও ইচ্ছের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ধর্ষণ করা যায় না৷ নিশ্চয় দু’পক্ষেরই সম্মতি ছিল। হতে পারে, ধোঁকা খেয়েই এতদিন পর সেই কিশোরী মুখ খুলল। তদন্তে সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ এদিকে অভিযুক্তকে জেরা করেও এবিষয়ে তথ্য পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর সেভেন
‘৫০ হাজার টাকা পেল রাজীবের দুই ভাই’
: অনলাইন সংরক্ষণ ।।। দুই বাসের রেষারেষিতে হাত কাটা পড়ে নিহত......বিস্তারিত