ঝালকাঠি প্রতিনিধি: এক সময়ের জৌলুসপূর্ণ ঝালকাঠির সিটিপার্ক অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে। পার্কটির যৌবন ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। পূর্বের ন্যায় পার্কের পরিবেশ সৌন্দর্যময় করতে নানা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক ও পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার সিটিপার্ক পরিদশণে এসে এসব পরিকল্পনার কথা জানান।
জানা যায়, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা একটি বস্তি উচ্ছেদ করে ১৯৮৬ সালে কয়েকজন যুবক মিলে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সিটিপার্ক প্রতিষ্ঠা করেন। ধীরে ধীরে পার্কটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়। সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে ভেতরে শোভা বর্ধণ করা হয়।
পার্কের ভেতর রয়েছে একটি পুকুর। পুকুরটির চারপাশে ফুলের বাগান এবং পুকুরের মাঝে সাম্পান ভাসানো ছিল। শিশু থেকে বয়স্করাও সেখানে সময় কাটাতে চলে আসতেন। স্থানীয় ও দূরের মানুষের সরব উপস্থিতিতে পিকনিক পার্টি চলতো। নাচে গানে মাতোয়ারা থাকতো বিনোদনপ্রেমী মানুষ। পার্কের সেই জৌলুস হারিয়ে যায় অযত্ন আর অবহেলায়। সম্পানগুলো নেই পুকুরে। ফুলের বাগানের চিহ্নও খুঁজে পাওয়া যায় না। কৃতিম পাহার ও টিলা নষ্ট হয়ে গেছে। শিশুদের জন্য নানা খেলনাও এখন আর নেই। সিটিপার্কের সেই পুরনো অবস্থার কথা শুনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সৌন্দর্য বৃদ্ধির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, ‘আমরা সিটিপার্কটি পূর্বের জৌলুসে ফিরিয়ে আনতে চাই। সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে পার্কটিতে বিনোদনপ্রেমীদের উপস্থিত নিশ্চিত করতে চাচ্ছি। এখানে পূর্বের ন্যায় সব কিছুই থাকবে।’
পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আমরা সহযোগিতা করবো। মানুষের বিনোদনের জন্য নির্ধারিত এই স্থানটি আবার সরব হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
‘যে শর্তে সালমানকে ছেড়ে দেওয়া হলো’
: ইউটিউবার ও অভিনেতা সালমান মুক্তাদিরকে ভিডিও সরানোর শর্তে ছেড়ে দিয়েছে......বিস্তারিত